exercise

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ | ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ,ডেঙ্গু জ্বর ও ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে জানবো। বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসার জন্য অসংখ্য রোগীরা ভিড় করছে।

এটি আমাদের দেশে একটি মহামারী আকার ধারণ করতে চলেছে। সবচেয়ে বড় আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে অনেকেই এই জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে না জেনে প্রতারিত হয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ করে ডেঙ্গু রোগীর টেস্ট বা চিকিৎসা করাচ্ছেন।

এইজন্য আপনাকে সর্বপ্রথম ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে হবে এবং এর চিকিৎসা নিতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো জানা থাকলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে কিনা।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

ডেঙ্গু (DENG-gey) জ্বর হল একটি মশা-বাহিত ভাইরাস-ঘটিত রোগ। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে প্রথমবার ডেঙ্গু-তে আক্রান্ত রোগীর বিশেষ কোন উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা যায় না। শুধু অল্প কিছু ক্ষেত্রেই রোগের প্রভাব গভীর হয়। ডেঙ্গুর সাধারণ উপসর্গ গুলি হোল –

  • উচ্চ জ্বর (40°C/104°F)
  • তীব্র মাথার যন্ত্রণা
  • চোখের পিছনে ব্যথার অনুভূতি 
  • মাংসপেশি এবং অস্থি সন্ধি (bone) তে যন্ত্রণা 
  • বমিভাব
  • মাথাঘোরা
  • গ্রন্থি ফুলে যাওয়া 
  • ত্বকে বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি

এই উপসর্গ গুলি রোগ সংক্রমণের 4 থেকে 10 দিনের মধ্যে দেখা দেয়। সাধারণত 2 থেকে 7 দিন পর্যন্ত উপসর্গ স্থায়ী হতে পারে। দ্বিতীয় বার ডেঙ্গু তে আক্রান্ত হলে রোগের ভয়াভয়তা বৃদ্ধি পায়। সেই কারনে পূর্বে ডেঙ্গু তে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অতিরিক্ত সতর্কতা মেনে চলতে বলা হয়।

ডেঙ্গুর গুরুতর উপসর্গ গুলি হোল – 

  • প্রচণ্ড পেট ব্যথা
  • ক্রমাগত বমি হওয়া
  • মারি বা নাক থেকে রক্তপাত
  • প্রস্রাবে এবং মলের সাথে রক্তপাত
  • অনিয়ন্ত্রিত পায়খানা 
  • ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ (যা ক্ষতের মতো দেখাতে পারে)
  • দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস
  • ক্লান্তি
  • বিরক্তি এবং অস্থিরতা

ডেঙ্গুর জীবাণু মানুষের শরীরের রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে রক্তনালীতে ছিদ্র তৈরি হয়। রক্ত রবাহে ক্লট-তৈরির কোষগুলির (প্ল্যাটলেট) সংখ্যা কমে যেতে থাকে। এর জন্য মানুষের শরীরে শক লাগা, শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তপাত, যে কোন অঙ্গের ক্ষতি এবং শেষ পর্যন্ত রোগীর মৃত্যু হতে পারে। রোগীর শরীরে গুরুতর উপসর্গ গুলির কোন একটি দেখা দিলে অতি অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত বা রোগী কে নিকটবর্তী হসপিটালে ভর্তি করানো দরকার। অন্যথায় রোগীর প্রাণসংকট হতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা

ডেঙ্গুর চিকিৎসার বিশেষ কোন ওষুধ বা প্রতিষেধক এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। গবেষকরা কাজ করে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘরোয়া চিকিৎসাতেই কমে যায়। চিকিৎসকরা পেরাসিটামিল জাতীয় ওষুধ দিয়ে যন্ত্রণা এবং জ্বরের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেন। Non-steroidal প্রদাহ-প্রতিরোধী ওষুধের রক্ত ক্ষরণের সম্ভাবনা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রোগের মাত্রা অতিরিক্ত ভাবে বৃদ্ধি পেলে রোগী কে হসপিটালে ভর্তি এবং ডাক্তারি নজরদারি তে রাখা একান্ত জরুরী। হসপিটালে ডেঙ্গু রোগীদের শিরায় (IV) ইলেক্ট্রোলাইট (লবণ) তরল দেওয়া হয়। এতে শরীরে প্রয়োজনীয় জল এবং লবণের যোগান বজায় থাকে।

ডেঙ্গু রোগীর খাবার

ডেঙ্গু রোগীর খাবার

প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন – ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন গ্রহণ করা যেতে পারে। এমন নয় যে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে, পানি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।

যেসব ঔষধ খাওয়া উচিত নয়

যেসব ঔষধ খাওয়া উচিত নয়

অধ্যাপক তাহমিনা বলেন, ”ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ চারটি প্যারাসিটামল খেতে পারবে।”

চিকিৎসকরা বলছেন, প্যারাসিটামলের সর্বোচ্চ ডোজ হচ্ছে প্রতিদিন চার গ্রাম। কিন্তু কোন ব্যক্তির যদি লিভার, হার্ট এবং কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা থাকে, তাহলে প্যারাসিটামল সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে গায়ে ব্যথার জন্য অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ খাওয়া যাবে না। ডেঙ্গুর সময় অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ গ্রহণ করলে রক্তক্ষরণ হতে পারে।

প্ল্যাটিলেট বা রক্তকণিকা নিয়ে চিন্তিত?

ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে প্ল্যাটিলেট বা রক্তকণিকা এখন আর মূল ফ্যাক্টর নয় বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক তাহমিনা। তিনি বলেন, ”প্ল্যাটিলেট কাউন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কোন প্রয়োজন নেই। বিষয়টি চিকিৎসকের উপর ছেড়ে দেয়াই ভালো।” সাধারণত একজন মানুষের রক্তে প্ল্যাটিলেট কাউন্ট থাকে দেড়-লাখ থেকে সাড়ে চার-লাখ পর্যন্ত।

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত,সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত অনেক বেশি। সকাল-বিকাল সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও সওয়াবের আমল। এ সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস বর্ণিত হয়েছে। চলুন জেনে নিই সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের আরবি, বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত সম্পর্কে একটি হাদিস। Link

 

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button *