প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা
প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা,প্রিয় বন্ধুগণ প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হলে কি ধরনের ইনফেকশন হতে পারে, প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার ঘরোয়া চিকিৎসা এবং ডাক্তারি পরামর্শ এই পোষ্টটিতে আমরা আলোচনা করব যাতে সহজে ঘরোয়া চিকিৎসা এবং ডাক্তারি পরামর্শ দিতে হয়।
প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা
পানি শরীর থেকে দূষিত ব্যাকটেরিয়াগুলো বের করে দেবে। এটি প্রস্রাব ঠিকঠাকমতো হতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যা হলে তরল খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। যেমন ধরুন- স্যুপ, জুস; পাশাপাশি পানিজাতীয় ফল ও সবজি খেতে হবে।
01 গরম চাপ
গরম চাপও দিতে পারেন। এতে ব্লাডারের চাপ কমবে এবং ব্যথা কমবে। এ জন্য আপনি হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন অথবা কোনো কাপড় তাপে গরম করে পেটে ব্যবহার করতে পারেন। একে তলপেটে ৫ মিনিট রাখুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আবার দিন। এভাবে কয়েকবার করুন।
02 দই খান
দইয়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া। এটি শরীরের পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমাতে প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ দই খান।
03 সঙ্গীর সঙ্গে মেলামেশা
সঙ্গীর সঙ্গে মেলামেশার আগে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনার সঙ্গীর প্রস্রাবে সংক্রমণ হয়েছে কিনা। যদি তা হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই মেলামেশা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ সঙ্গীর প্রস্রাবে সংক্রমণ হলে তা আপনারও হতে পারে।
04 পানি পান করা
১) প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান না করা। পানি আমাদের দেহের বেশীর ভাগ রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে। অপর্যাপ্ত পানি দেহের নানাবিধ রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পর্যাপ্ত পানির অভাবে প্রস্রাবে জ্বলাপোড়া হয়। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া সাধারণত তাদের মাঝেই দেখা দেয় যারা দেহের প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান করে না।
২) নারীদের ক্ষেত্রে এই উপর্সগটি বেশ কষ্টদায়ক। মেয়েদের পায়ুপথের খুব কাছেই মূত্রনালী অবস্থিত। যার ফলে পায়ুপথের মাধ্যমে অনেক ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস মূত্রনালীতে প্রবেশ করে এবং জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি করে।
৩) নারীদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে মাসিক বা পিরিয়ড। প্রতি মাসেই মেয়েদের মাসিক বা পিরিয়ড হয়। সকলেই সেই সময় ন্যাপকিন কিংবা কাপড় ব্যবহার করে। সেই ন্যাপকিন বা কাপড়ের সাথেও জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালিতে প্রবেশ করে এবং সংক্রমণের সৃষ্টি করে।
5) শাক-সবজি
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করতে সবুজ শাক-সবজির অন্ত নেই। শাক-সবজির মাঝে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে যা দেহের প্রয়োজনীয় পানির অভাব পূরণ করে। দৈনিক খাদ্য তালিকায় আমিষের পরিমাণ কমিয়ে শাক সবজির পরিমান বাড়ানো উচিত। তাছাড়া কিছুকিছু শাক সবজি দেহের শর্করার চাহিদাও মেটায়। তাই প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করতে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক সবজি খেতে হবে।
তাছাড়া বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদ যেমন নিমপাতার রস ও চিরতার রসও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করে। এবং বিভিন্ন মসলার মিশ্রণ যেমন আদার রস ও জিরার গুঁড়া মিশিয়ে হালকা গরম পানি দিয়ে পান করলেও ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর হয়ে যায়। সামান্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে খুব সহজেই প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করা সম্ভব। তাই এই উপসর্গটিকে বাড়তে না দিয়ে আজই উপরোক্ত উপায়গুলো অবলম্বন করা শুরু করে দিন। কাঙ্খিত ফলাফল না পাওয়া অবধি মেনে চলুন উপরের উপায়গুলো। খুব দ্রুতই এর ফল পাবেন।
প্রসাবে ইনফেকশন
ইউরিন ইনফেকশনের কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে। এসব লক্ষণ দেখা দিলেই বুঝে নিতে হবে যে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি হচ্ছে।
- ১) প্রথমত প্রস্রাবের সময় প্রচন্ড পেট ব্যথা এবং পিঠের পিচে ব্যথা অনুভূত হয়।
- ২) প্রস্রাবের বেগ আসা স্বত্বেও পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রস্রাবে না হওয়াও এই উপসর্গের একটি লক্ষণ।
- ৩) তাছাড়া গন্ধযুক্ত ও ঘোলাটে এবং লাল রঙ সমন্বিত প্রস্রাবও হয়ে থাকে।
এই জ্বালাপোড়া অতি মাত্রায় বেড়ে গেলে জীবাণু দেহের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পরে এবং কিডনিতে গিয়ে পাথর সৃষ্টি করে ফেলে। তাই এই সমস্যাকে বাড়তে দেয়া উচিত না। প্রাথমিক অবস্থাতেই এর চিকিৎসা করা প্রয়োজন। সাধারণ লক্ষণ দেখা দিলে ঘরে বসেই এর প্রতিকার করা সম্ভব। তো, চলুন জেনে নিই ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দূর করার কিছু উপায়।