ফ্রিল্যান্সিং | ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবোফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং ,ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো,ফ্রিল্যান্সিং কি,ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ,ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার,ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল,ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি

Aug 12, 2024 - 18:20
 0  6
ফ্রিল্যান্সিং | ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবোফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং | ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবোফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং ,বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের চাহিদা

অনেক অংশে কমিয়েছে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং।

এটি এমন একটি পেশা যেখানে কাজ করার কোনো ধরাবাঁধা সময় নেই। আপনার যখন ইচ্ছা, যেখানে ইচ্ছা কাজ করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ফিল্যান্সিং করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে যে কোনো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে ৷ আর দক্ষতা অর্জন করতে হলে সবার আগে আপনাকে যে কোনো বিষয় সম্পর্কে শিখে নিতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

প্রিয় বন্ধুরা, ফ্রিল্যান্সার হতে হলে যে কোন একটি বিষয়ের উপরে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হবে না হলে ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসগুলোতে ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন না। তাই আপনি যে বিষয়টা শিখতে আগ্রহী সে, বিষয়ের উপরেই ছোটখাটো একজন দক্ষ বা এক্সপার্ট হয়ে যান।

প্রথমে যে কোন একটি কাজ আপনি শিখে নিন যেমন ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন,অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট এই বিষয়গুলোর উপরে প্রচুর চাহিদা রয়েছে মার্কেটপ্লেসে। তারপরে অলরেডি মার্কেটপ্লেসগুলোতে যারা কাজ করে, তাদের থেকে কিছু তথ্য জেনে নিন অথবা অনলাইনে ভিডিও কোর্স দেখুন।

ফ্রিল্যান্সিং কি

ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত পেশা,একজন ফ্রিল্যান্সার হলে ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন। যেমন আমি ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে ভালো জানি বা এক্সপার্ট,আপনার কোম্পানি

বা কোন কোম্পানির ভিডিও এডিটিং করার জন্য কাউকে খুঁজছে, এমত অবস্থায় আমাকে সে খুঁজে পেল। সে বলল যে আমার কোম্পানির জন্য এই ভিডিওটি এডিট করে দিন। বিনিময়ে আমি বললাম, আমাকে এত টাকা দিতে হবে।একেই বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্ত পেশা ।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে এসব কাজই আপনার জন্য হতে পারে যথেষ্ট ।ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লে যে অনেক ধরনের কাজ অ্যাভেলেবেল রয়েছে যা সহজেই করতে পারেন তবে এ কাজগুলো ভালো যা আমরা নিচে উল্লেখ করলাম।

  1. গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphic design)
  2. ভিডিও এডিটিং (Video editing)
  3. ওয়েবসাইট ডিজাইন (Website design)
  4. ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট (Website development)
  5. অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট (Application development)
  6. কনটেন্ট রাইটিং (Content writing)
  7. কপিরাইটিং (Copy writing)
  8. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search engine optimization -SEO)
  9. ডাটা এন্ট্রি (Data entry)
  10. ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing)
  11. ট্রান্সক্রাইবিং (Transcribing)
  12. ট্রান্সলেটিং (Translating)
  13. ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট (Virtual assistant)
  14. ডাটা এনালাইসিস (Data analysis)
  15. ইউএক্স / ইউ আই ডিজাইনার (UI /UX Designer)

ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) মূলত এমন একটি পেশা যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটি সাধারন চাকরির মতোই, কিন্তু ভিন্নতা হলো এখানে আপনি আপনার স্বাধীন মতো কাজ করতে পারবেন।

দেখা গেলো আপনার এখন কাজ করতে ইচ্ছা করছে না; আপনি করবেন না। যখন ইচ্ছা করবে তখন আবার চাইলেই করতে পারবেন। ধরাবাঁধা কোনো অফিস টাইম নেই। এরপরে এখানে আপনার নির্দিষ্ট কোনো ইমপ্লয়ার (Employer) নেই। যখন যে বায়ারের কাজ নিবেন তখন সে-ই আপনার ইমপ্লয়ার (Employer)।

সাধারন চাকরি থেকে এখানে আরেকটি বিষয়-এর ভিন্নতা আছে। সেটি হলো কাজের স্থান। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর নির্দিষ্ট কোনো অফিস নেই। মূলত আপনার বাড়িই হচ্ছে আপনার অফিস।

এখানে বসেই আপনি বিভিন্ন দেশের বায়ারদের সাথে কাজ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর ক্ষেত্রে খুব সহজেই সরকারি বেসরকারি অনেক চাকরির থেকে বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন আপনার যদি যথেষ্ট পরিমাণে দক্ষতা থাকে।

এটা আমরা সবাই জানি যে, আমাদের দেশে দক্ষতার কদর হয় না সেভাবে; কিন্তু বাইরের দেশ গুলোতে হয়। আপনি সেসব দেশের বায়ারদের সাথে কাজ করে বাংলাদেশের তুলনায় দ্বিগুণ/তিনগুণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

ভিডিও এডিটিং এর অন্তর্ভুক্ত ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ:

ওপেন প্লাটফর্মের কারণে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ তালিকার উপরের দিকে উঠে এসেছে ফ্রিল্যান্স ভিডিও এডিটিং। ভিডিও কাট, ট্রিমিং করে ক্লিপগুলোকে সিকোয়েন্স অনুযায়ী সাজানোসহ একটি ক্লিপগুলোকে পরিপূর্ণ একটি ভিডিওতে রূপান্তর করাকে মূলত ভিডিও এডিটিং বলে।

  • ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট (Visual effect)
  • ইন্ট্রো এন্ড আউটট্রো ভিডিওস (Intro and outro videos)
  • ভিডিও টেম্পলেট এডিটিং (Video template editing)
  • সাবটাইটেল এন্ড ক্যাপশন (Subtitle and caption)
  • ক্যারেক্টর এনিমেশন (Character animation)
  • এনিমেটেড এক্সপ্লেইনারস (Animated Explainers)
  • লোগো এনিমেশন (Logo Animation)
  • এনিমেটেড গিফস (Animated GIFs)
  • এনিমেশন ফর স্ট্রিমার্স (Animation for Streamers)
  • এনিমেশন ফর কিডস (Animation for Kids)
  • ভিডিও এডস্ & কমার্শিয়ালস (Video Ads & Commercials)
  • সোসাল মিডিয়া ভিডিওস (Social media Videos)
  • স্পোকসপার্সন ভিডিওস (Spokesperson Videos)
  • মিউজিক ভিডিওস (Music Videos)
  • স্লাইডশো ভিডিওস (Slideshow Videos)
  • কর্পোরেট ভিডিওস (Corporate Videos)
  • মেডিটেশন ভিডিওস (Meditation Videos)
  • রিয়াল স্টেট প্রোমোস (Real Estate Promos)

ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট

বর্তমানে অফলাইনের পাশাপাশি আমাদের দেশেও অনলাইনে কেনাকাটা থেকে শুরু করে বাংলা ব্লগ এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া অনলাইন কোর্স ও সার্ভিস দেওয়ার জন্যও ওয়েবসাইট প্রয়োজন হয়। আমাদের দেশের বাইরে উন্নত দেশে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা আরো অনেক বেশি।

তাছাড়া, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করার পরেও তা মেইনটিনান্স এর জন্য ওয়েব ডেভেলপার হায়ার করতে হয়। তাই, বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ থেকে সেরা এবং সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর দুটি ধাপ:

  1. ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  2. ব্যাক এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে হলে বেসিক যা জানা দরকার –

  • HTML
  • CSS
  • JavaScript
  • JQuery
  • Bootstrap
  • Python
  • PHP

ই কমার্স সাইটের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার:

স্কয়ারস্পেস (SquareSpace) শপিফাই (Shopify) উইবলি (Weebly) ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress)

অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট | Application development

মোবাইল, কম্পিউটারে আমরা প্রতিনিয়ত কিছু অ্যাপ্লিকেশন (Application/App) ব্যবহার করে থাকি। এসব অ্যাপ তৈরি করা থেকে শুরু করে রক্ষনা-বেক্ষন এর যাবতীয় সব কাজ অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের আওতায় পরে।

বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে ব্রাউজারের চেয়ে অ্যাপ প্রাধান্য পাওয়ায় অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপারদের চাহিদা প্রচুর। তাই, Best Skills for Freelancing সমূহের মাঝে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর অবস্থান উপরের দিকেই থাকছে।

বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট করতে হয় যেমন;

  • ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট (Desktop application development)
  • ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট (Web application development)
  • মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট (Mobile application development)
  • অ্যাপ্লিকেশন মেইন্টেনেন্স এবং সাপোর্ট (Application maintenance and support)

কন্টেন্ট রাইটিং | Content Writing

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সহজ কাজ সমূহ এর মাঝে অন্যতম অথচ রয়েল জব কন্টেন্ট রাইটিং। কন্টেন্ট রাইটিং বলতে মূলত কোনো বিষয়ের উপর বিস্তারিত লেখাকে বুঝায় যাতে ওই বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান থাকবে। অনলাইনে কন্টেন্ট রাইটিং করতে হলে বেশ কয়েকটি দিক বিবেচনায় রাখা জরুরি।

কোন টপিক ট্রেন্ডে আছে, পাঠক কোন ধরনের টপিক সম্পর্কে জানতে চায় ইত্যাদি বিষয় মাথায় রেখে রিসোর্চফুল কন্টেন্ট লিখতে হয়। অনলাইনে কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে কী ওয়ার্ড, এসইও (SEO) খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিভিন্ন প্রকারের কন্টেন্ট রাইটিং রয়েছে:

  • ব্লগ আর্টিকেল (Blog Article)
  • কপিরাইটিং (Copy writing)
  • সোশ্যাল মিডিয়া রাইটিং (Social media writing)
  • ইমেইল মার্কেটিং কন্টেন্ট (Email marketing content)
  • এক্সপার্ট রাইটিং (Expert writing)
  • নিউজ রাইটিং ( News writing)
  • ক্রিয়েটিভ রাইটিং (Creative writing)
  • ই-বুক রাইটিং (Ebook writing)
  • টেকনিক্যাল রাইটিং (Technical writing)
  • রিজিউমি রাইটিং (Resume writing)
  • পডকাস্ট রাইটিং (Podcast writing)
  • ট্রান্সলেশন (Translation)
  • ট্রান্সক্রিপশন (Transcription)
  • রিসার্চ রাইটিং (Research writing)

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন | Search engine optimization

ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের শুরুর দিকে নিয়ে আসার জন্য মূলত অপটিমাইজেশন করা হয়ে থাকে। যখন আমরা কোনো কিছু খুঁজে পাওয়ার জন্য সার্চ করে থাকি, তখন অনেকগুলো ওয়েবসাইটের মধ্যে কিছু ওয়েবসাইট সবার শুরুতে আসে, প্রথম পেজে আসে।

ওয়েবসাইটকে সার্চে ইঞ্জিনের প্রথম পেজে আনার জন্য যে অপটিমাইজেশন করা হয়ে থাকে, তাকেই মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করলে ওয়েবসাইটের ভিউ তথা ট্রাফিক বাড়বে, এবং সেইসাথে পণ্যের কেনাবেচা কিংবা লিড জেনারেশন বাড়বে। তাই, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর মাঝে ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার খুবই চাহিদা সম্পন্ন।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন দুই ধরনের:

  • অন পেজ অপটিমাইজেশন (On page SEO)
  • অফ পেজ অপটিমাইজেশন (Off page SEO)

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন জানলে বেশ কম সময়ে বড় বড় প্রজেক্ট কমপ্লিট করা যায়। তাই, সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ এর মাঝে ফ্রিল্যান্সারদের কাছেও এসইও খুবই পছন্দের অপশন।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজ কিভাবে পাবেন?

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজ পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেক অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। একজন ক্লায়েন্ট কেন আপনাকেই কাজটি দিবে?

তার জন্য আপনাকে অবশ্যই খুবই ভালো মানের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ভালো হতে হবে। তাছাড়া আপনাকে যে কাজটির জন্য ক্লায়েন্ট পেমেন্ট করবে সেই কাজটিও আপনাকে অত্যন্ত ভালোভাবে সুসম্পন্ন করতে হবে।

মনে রাখবেন, বায়ারের সাথে যতো ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ততো বেশি সুন্দর হবে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন প্রতিটি বায়ারের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করার।

 

ফ্রিল্যান্সি (Freelancing) এর অসুবিধা

ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ এক্ষেত্রে। চলুন দেখে নিই এর অসুবিধাগুলোওঃ

  • ফ্রিল্যান্সেরদের (Freelancer) দীর্ঘ সময় একই জায়াগায় বসে কাজ করতে হয়। এজন্য কোমর, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাথা সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
  • কম্পিউটার এর সামনে একটানা অনেকক্ষণ বসে থাকতে হয়। তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফ্রিল্যান্সারদের চোখের সমস্যা দেখা যায়।
  • এক্ষেত্রে সব কাজ বাসায় বসে করতে হয়। এর ফলে একাকীত্বের মাধ্যমে মানুষ অবসাদগ্রস্ত হয়ে যায় যেটি পরবর্তীতে বড় রুপ ধারন করতে পারে।
  • প্রায়শই ঘুমের নানা রকম সমস্যায় সম্মুখীন হন ফ্রিল্যান্সাররা। কারন দেখা যায় আমাদের দেশে যখন রাত, ক্লায়েন্টের দেশে তখন দিন।
  • বাইরে তেমন বের না হওয়ার কারনে রোদের স্পর্শ পায় না তেমন এই পেশার লোকজন। সেক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর অভাব হওয়াটা ব্যতিক্রম কিছু না।

How to start Freelancing

এটা সকলেরই প্রশ্ন যে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন। তো এই পেশায় ঢোকার জন্য আপনাকে প্রথমেই একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার যে কাজে আগ্রহ সব থেকে বেশি সে কাজটি বেছে নিবেন।

এর ফলে আপনি কাজ করে যেমন মজা পাবেন, তেমন অনেক দূর যেতে পারবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত সেক্টরটিতে। যেমন ধরুন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design) সেকশনটা বেছে নিলেন ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য। এই কাজটি কিন্তু ক্রিয়েটিভ মানুষদের কাজ। সবার দ্বারা ডিজাইন করা সম্ভব নয়।

তো এটি বেছে নেওয়ার পূর্বেই আপনি দেখবেন যে, এই কাজটি আপনি কেমন পারছেন, কেমন আগ্রহ আপনার এই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর। যদি দেখেন সব কিছু ঠিকঠাক, সেক্ষেত্রে এটিকে নির্ধারিত করে এই রিলেটেড যত কাজ আছে সব শিখবেন। যেমন: ব্যানার, কভার পেজ, লিফলেট, পোস্টার, লোগো ইত্যাদি ডিজাইন করা।

এগুলো আপনি নিজে নিজেই গুগলে বা ইউটিউবে রিসোর্স খুঁজে সেখান থেকে দেখে দেখে শিখতে পারেন, আবার চাইলে বিভিন্ন কোর্স আছে অনলাইনে সেগুলোও করতে পারেন। পুরোটাই আপনার ইচ্ছার উপরে নির্ভরশীল।

এরকম অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে বর্তমানে। যেমন: FiverrFreelancerUpwork ইত্যাদি। একাউন্ট খোলার পর সেটিকে সুন্দর করে সাজাতে হবে। দোকানে যেমন বিভিন্ন পন্য সাজানো থাকে, ঠিক তেমন করেই আপনার করা কাজগুলো পোর্টফোলিও আকারে সাজিয়ে রাখতে হবে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস (Marketplaces) গুলোতে। এর পরে শুধু প্রথম কাজের জন্য অপেক্ষা। আরো জানুন