সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত | বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত,সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা অর্থসহ,সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা উচ্চারণ সহ,সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত,সূরা বাকারার

Aug 11, 2024 - 17:33
 0  14
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত | বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত | বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত,আসসালামুয়ালিকুম প্রিয় বন্ধুগণ সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত সহি শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ সহ কিভাবে তেলাওয়াত শিখবেন আমরা এই পোস্টটিতে বিস্তারিত আলোচনা করব আরবি এবং বাংলা উচ্চারণ সহ শেখানোর চেষ্টা করব চলুন আমরা শুরু করি।

 

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত আরবি

آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ ۚ كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ ۚ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ

لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা উচ্চারণ

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা উচ্চারণ 

২৮৫: আ-মানাররাছূলু বিমাউনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূনা কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহী লা-নুফাররিকুবাইনা আহাদিম মির রুছুলিহী ওয়া কা-লূ ছামি‘না ওয়াআতা‘না গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর।

২৮৬: লা-ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-লাহা-মা কাছাবাত ওয়া ‘আলাইহা-মাকতাছাবাত রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা অর্থ

২৮৫: রাসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।

২৮৬: আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত

রাসূল (সা) হতে পর্যায়ক্রমে ইবনে মাসউদ (রা), আবদুর রহমান ইবনে ইয়াযীদ, ইবরাহীম, মনসুর, সুফিয়ান ও আবু নাঈম বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাকারার শেষ আয়াত দুটি পাঠ করল, উহা তার জন্য যথেষ্ট হল।

অন্যরা সুলায়মান ইবনু মিহরান আল আমাশের সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা প্রদান করেন। সহীহদ্বয়ে এই বর্ণনাটি আবদুর রহমান, ইব্রাহিম, মনসুর ও সাওরীর সনদে বর্ণিত হয়েছে।

সহীহুদ্বয়ে ইবনে মাসউদ (রা) হতে পর্যায়ক্রমে আলকামা ও আব্দুর রহমানের সনদেও উহা বর্ণিত হয়েছে। আব্দুর রহমান বলেন আমি একবার ইন মাসউদ এর সাথে দেখা করলাম। তিনি আমাকে অনুরূপ বর্ণনা প্রদান করেন। আহমদ ইবনে হাম্বল ও অনুরূপ বর্ণনা প্রদান করেন।

নবী করিম (সা) হতে ইবনে মাসউদ (রা), আলকামা, মুসাইয়েব ইবনে রসফ, আসিম, শরিক ও ইয়াহিয়া ইবনে আলম বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে উহা তাহার জন্য যথেষ্ট হবে।

নবী করিম (সা) হতে ইবনে মাসউদ (রা), আলকামা, মুসাইয়েব ইবনে রসফ, আসিম, শরিক ও ইয়াহিয়া ইবনে আলম বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে উহা তাহার জন্য যথেষ্ট হবে।

আবু যর (রা) হতে পর্যায়ক্রমে মারুর ইন সুয়াইদ, খারাশ ইবনুল হার, রব, মনসুর, শায়বান, হুসাইন ও আহমদ ইবনে হাম্বল (র) বর্ণনা করেন যে, রাসূল (সা) বলেছেন আরশের নিচের ভাণ্ডার থেকে আমাকে সূরা বাকারার শেষ অংশ প্রদান করা হয়েছে। আমার পূর্বে অন্য কোন নবীকে ইহা দেওয়া হয় নাই।

আবু যর (রা) হতে পর্যায়ক্রমে যায়দ ইবন যাবিয়ান, রবঈ, মনসুর, সাওরী, আশজাদ ও ইবুন মারদুবিয়া বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) বলেন আরশের নিচের খনি থেকে আমাকে সূরা বাকারার শেষ অংশ প্রদান করা হয়েছে।

surah baqarah last 2 ayat bangla

surah baqarah last 2 ayat bangla 

২৮৫: আ-মানাররাছূলু বিমাউনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূনা কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহী লা-নুফাররিকুবাইনা আহাদিম মির রুছুলিহী ওয়া কা-লূ ছামি‘না ওয়াআতা‘না গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর।

২৮৬: লা-ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-লাহা-মা কাছাবাত ওয়া ‘আলাইহা-মাকতাছাবাত রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

surah baqarah last 2 ayat

সূরা বাকারা পবিত্র কুরআনের ২য় অধ্যায়। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছিল এবং এটি মোট 286টি আয়াত নিয়ে গঠিত। সূরা বাকারাকে কুরআনের দীর্ঘতম অধ্যায় হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।

আরবি ভাষায় ‘বাকারাহ’ শব্দের অর্থ ‘গরু’। পবিত্র কুরআনের এই অধ্যায়ে মানবজাতির জন্য একাধিক ঘটনা এবং পাঠ রয়েছে এবং এটি পড়া এবং বোঝা বিশ্বের সমস্ত মুসলমানদের জন্য সমান গুরুত্বের অধিকারী।

সূরা ইয়াসিন | surah yasin